সরকার আলোচনায় রাজী থাকলে বিএনপি নির্দলীয় সরকারের ফমূর্লা দেবে বলে জানিয়েছেন দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহ।
শনিবার ঢাকায় বিবিসি বাংলাদেশ সংলাপে হান্নান শাহ বলেন, “ফর্মূলা আমরা অবশ্যই দেব যদি ওনারা চান।”
সম্প্রতি বিএনপি চেযারপার্সন খালেদা জিয়া বলেছেন ‘তত্তাবধায়ক সরকার’ না হলেও অন্য যে কোন নামে তারা নির্দলীয় সরকারের অধীনে তাঁরা নির্বাচন চান।
কিন্তু সেই নির্দলীয় সরকারের ফর্মূলা বা কাঠামো কী হবে সে বিষয়ে বিএনপি’র দিকে থেকে কিছু বলা হয়নি।
বিবিসি বাংলাদেশ সংলাপে বিএনপি নেতা হান্নান শাহ বারবারই বলেছেন সরকার রাজী আলোচনায় রাজী থাকলে বিএনপি নির্দলী সরকারের ফর্মূলা দেবে।
কিন্তু সেজন্য সরকারকে আগে আলোচনায় রাজী হতে হবে। বিএনপি আগে কোন ফমূর্লা দিচ্ছে না কেন, সে প্রশ্ন এড়িয়ে যান হান্নান শাহ।
এই অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন ‘নির্দলীয় সরকার’ নিয়ে বিএনপি’র হাতে যদি কোন ফমূর্লা থাকে তাহলে সেটি আগে তাদের উপস্থাপন করতে হবে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, “তারা (বিএনপি) তত্তাবধায়ক সরকার থেকে নির্দলীয় সরকারে এসেছেন। নির্দলীয় সরকারের কী রুপরেখা তারা দিতে চান, তারা বলুক।”
কিন্তু বিএনপি ফমূর্লা দিলেও সেটি নিয়ে এখন আলোচনার কোন সুযোগ নেই বলে খাদ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন আলোচনা করার এখনো সময় আসেনি। বাংলাদেশে মধ্যবর্তী নির্বাচনের সম্ভাবনাও নাকচ করে দেন কামরুল ইসলাম।
খাধ্যমন্ত্রীর কথার জবাবে বিএনপি নেতা হান্নান শাহ বলেন সরকার তার প্রতিশ্রুতি থেকে সরে এসেছে। কারন পাঁচই জানুয়ারী নির্বাচনকে সংবিধান রক্ষা এবং ধারাবাহিকতার নির্বাচন হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছিল।
বাংলাদেশ সংলাপের এই অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সাদেকা হালিম এবং সিনিয়র সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজী।
রুহুল আমিন গাজী বলেন বর্তমান সরকারকে এমন একটি নির্বাচন ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে যেটি নিয়ে কোন প্রশ্ন থাকবে না। তিনি বলেন সকল দলের অংশগ্রহনে একটি নিরপক্ষে নির্বাচন হওয়া দরকার।
অধ্যাপক সাদেক হালিম বলেন ‘নির্দলীয় সরকার’ বিষয়ে বিএনপি’র দাবী নিয়ে আলোচনা হতেই পারে।
কিন্তু এই নির্দলীয় সরকারের বিষয়টি বিএনপি কোন ফর্মূলায় চাচ্ছে সেটি পরিষ্কার নয় তিনি উল্লেখ করেন। অধ্যাপক সাদেকা হালিম বলেন নির্দলীয় সরকার বিষয়ে বিএনপিকে অবশ্যই একটি ফর্মূলা দিতে হবে।